যে কোন পশুকে আপনি পোষ মানানোর জন্য কিছু দিক নির্দেশনা অবশ্যই আছে। কি মানুষ, কি পশু! আপনি যখন কোন প্রানীর প্রতি ভালোবাসা দেখাবেন তখন সেই প্রাণীও আপনার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখাবে। আপনার পোষা বিড়ালটি আপনার সব সময়ের সঙ্গী তাই প্রথমত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। আপনার পালিত বিড়ালটি নোংরা থাকতে চাইবে না।তাই আপনিও সচেষ্ট থাকবেন তার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে। তার থাকার জায়গাটি পরিষ্কার রাখতে হবে অথবা বিড়ালটি যদি আপনার সাথে রাতে ঘুমায় তাহলেও তার প্রতি নিতে হবে বিশেষ যত্ন। আপনার শখের বিড়ালটির শরীরের লম্বা চুলগুলোকে আঁচড়িয়ে দিতে হবে। দিনে দুই-তিন বার ব্রাশ করে দিলে লোম গুলো দেখতেও ভালো লাগে।
বিড়ালের সুন্দর লোম গুলো ঝরে পড়তে পারে। নিয়মিত ব্রাশ করার ফলে একদিনে যেমন ঝরে পড়া লোম দূর হয়ে যাবে তেমনি লোমের নিচে লুকানো শুকনো ময়লা গুলো দূর হয়ে যাবে। হেয়ার ফলের অন্যতম কারনও এই লোম। বিড়ালের সারা গায়ের পশমের কারনে জটলা অবস্থার সৃষ্টি হয় তা তার দম বন্ধ অবস্থার সৃষ্টি করে। পার্শিয়ান বিড়ালের শরীরে অনেক লোম থাকে। তা আকারেও বড়। অনেক সময় এই লোম দম বন্ধ অবস্থার সৃষ্টি করে । এ অবস্থা থেকে বিড়ালের মৃত্যুও হয়। চাইলে বিড়ালের লোমের আকার আপনি কেটে ছোট করে রাখতে পারেন। বিড়ালের শরীরের প্রতিটা জায়গায় ব্রাশ করতে হবে তার লোমের বৃদ্ধির দিকের উপর ভিত্তি করে।
আপনি যখন ব্রাশ করবেন তখন দুটি অংশে ব্রাশ করা যাবে না। থাবা ও চেহারার অংশটুকু বাদ দিতে হবে। পার্শিয়ান বিড়ালগুলোর চোখ, আকারে এমনিতেও একটু বড় হয়ে থাকে। ব্রাশের আঘাতে রক্তাক্ত হতে পারে। চাইলে নিজের হাতে গ্লাভস পড়ে আপনার শখের পোষা বিড়ালের লোমগুলো আঁচড়ে দিতে পারেন। মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত সব জায়গার লোমগুলোকে গুছিয়ে আঁচড়ে দিতে পারেন। ব্রাশ করার সময় আপনার বিড়ালের চারটি অংশ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
কানঃ বিড়ালের বাচ্চাটির কান খেয়াল করে দেখবেন পরিষ্কার কিনা। সাধারণত বিড়ালের কান হালকা গোলাপী হয়ে থাকে। এছাড়া একটি সুস্থ বিড়ালের শ্রবন ক্ষমতাও স্বাভাবিক থাকবে। কানে অল্প শুনা কানের সমস্যাকেই নির্দেশ করে।
চোখঃ বিড়ালের স্বচ্ছ ও উজ্জল চোখ সুস্থতাকেই প্রকাশ করে। কোন প্রানী যখন অসুস্থ হয় তখন তার চোখে অনেকটা প্রভাব পড়ে।
দাঁত ও নখঃ বিড়ালের শিকারের জন্য দাঁত ও নখ গুরুত্ব বহন করে।
এত গেলো বিড়ালের প্রতি আপনার খেয়ালের কথা। গৃহপালিত প্রানী হিসেবে বিড়াল এমনিতেও খুব উপযোগী প্রানী। তবু তার কিছু প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হতে পারে। গ্রুমিংয়ে কেমন করলো তার জন্য নিতে পারেন ছোট খাটো পরীক্ষা। পরীক্ষায় যখন আপনার বিড়ালটি সফল হবে তার জন্য ছোট কোন গিফটের ব্যাবস্থা করতে পারেন, তার পছন্দের খাবারটি রান্না করে ট্রিট দিতে পারেন। এতে করে শখের পোষা বিড়ালটি আরো দ্বিগুণ উৎসাহে শেখা শুরু করবে।
আপনার সহযোগীতার মনোভাব বিড়ালটিকে খুব সহজেই সব কিছু শেখাতে সাহায্য করবে। বাচ্চা বিড়াল প্রশিক্ষণের জন্য সবচেয়ে ভালো। ভেবে চিনতে আজই শুরু করে দিতে পারেন বিড়াল লালন পালন।
খুব ভালো সাইট কনটিনিউ করার দরকার ছিল।